বলিঞ্জার ব্যান্ড (Bollinger Bands) হলো একটি জনপ্রিয় টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর, যা মূলত দামের ওঠানামা (Volatility), ওভারবট–ওভারসোল্ড অবস্থা এবং এন্ট্রি–এক্সিট পয়েন্ট বুঝতে কাজে লাগে।
🔹 বলিঞ্জার ব্যান্ড কী দিয়ে তৈরি?
এটি ৩টি লাইনে গঠিত—
1️⃣ মিডল ব্যান্ড → সাধারণত 20-period Simple Moving Average (SMA)
2️⃣ আপার ব্যান্ড → SMA + 2× Standard Deviation
3️⃣ লোয়ার ব্যান্ড → SMA − 2× Standard Deviation
🔹 বলিঞ্জার ব্যান্ড কী কাজে লাগে?
1️⃣ মার্কেটের Volatility বোঝার জন্য
ব্যান্ড চওড়া হলে → মার্কেটে বড় মুভমেন্ট / বেশি ভোলাটিলিটি
ব্যান্ড সরু হলে → মার্কেট শান্ত (Low Volatility)
👉 সরু ব্যান্ডের পর প্রায়ই বড় ব্রেকআউট হয়
2️⃣ ওভারবট ও ওভারসোল্ড শনাক্ত করতে
দাম Upper Band ছুঁলে → সম্ভাব্য Overbought
দাম Lower Band ছুঁলে → সম্ভাব্য Oversold
⚠️ ট্রেন্ডিং মার্কেটে দাম ব্যান্ডের বাইরেও চলতে পারে
3️⃣ Buy ও Sell সিগন্যাল পেতে
✅ Buy Signal (সাধারণভাবে)
দাম Lower Band ছুঁয়ে আবার উপরে উঠলে
RSI যদি 30–40 এর কাছাকাছি থাকে → সিগন্যাল শক্তিশালী
❌ Sell Signal (সাধারণভাবে)
দাম Upper Band ছুঁয়ে নিচে নামলে
RSI যদি 60–70 এর কাছাকাছি থাকে
4️⃣ ব্রেকআউট ধরতে
ব্যান্ড অনেকদিন টাইট থাকলে (Squeeze)
হঠাৎ বড় ক্যান্ডেল ব্যান্ড ভেঙে বের হলে
👉 শক্তিশালী ব্রেকআউট ইঙ্গিত
🔹 স্ক্যালপিং ও ফিউচার ট্রেডিংয়ে ব্যবহার
(আপনি যেহেতু Binance Futures ও স্ক্যালপিং করেন)
সেটিং (সাধারণ):
Period: 20
Deviation: 2
স্ক্যালপিংয়ে টিপস:
Timeframe: 1m / 5m
Bollinger Band + RSI + EMA একসাথে ব্যবহার করলে ভালো ফল দেয়
🔹 গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা ⚠️
❌ শুধু বলিঞ্জার ব্যান্ড দেখে ট্রেড করবেন না
✔️ ট্রেন্ড, ভলিউম, RSI/EMA সাথে মিলিয়ে নিন
✔️ সবসময় Stop-Loss ব্যবহার করুন।
